রাঢ় অঞ্চল কাকে বলে? রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতির বিবরণ
রাঢ় সমভূমি অঞ্চল :
অবস্থান:
ভাগীরথী-হুগলী নদীর পশ্চিমে সমগ্র বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিম অংশে; বাঁকুড়া , বর্ধমান ও মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে বেষ্টিত অঞ্চলকে রাঢ় সমভূমি অঞ্চল বলে ।
সমগ্র অঞ্চলটি পশ্চিমে পশ্চিমের মালভূমি হতে পূর্বে ভাগীরথী -হুগলী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ।
রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি :
১) রাঢ় অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৩০-৫০ মিটার ।
২) এই অঞ্চল পশ্চিম হতে পূর্বে ঢালু ।
৩) প্রাচীন পলি দ্বারা গঠিত ।
৪) ভূমিরূপ রুক্ষ
৫) খোয়াই : বিভিন্ন অঞ্চলে খোয়াই ভূমিরূপ দেখা যায় । (বিশদ জানুন 🙂
৬) এই অঞ্চলকে জেলা ও মধ্যবর্তী দোয়াব হিসাবে চার ভাগে ভাগ করা যায় ।
যেমন –
(i) মুর্শিদাবাদ রাঢ়
(ii) বীরভূম-বর্ধমান রাঢ়
(iii) বাঁকুড়া রাঢ়
(iv) মেদিনীপুর রাঢ়
৭) রাঢ় অঞ্চলে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার আধিক্য দেখা যায় ।
রাঢ় অঞ্চলের নদ-নদী:
রাঢ় সমভূমি অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীগুলি হল দামোদর, অজয়, ময়ুরাক্ষী, দ্বারকেশ্বর, শিলাই, কাঁসাই প্রভৃতি । সব নদীই পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । বর্ষাকালে নদীগুলিতে প্রায়ই বন্যা দেখা যায় ।
রাঢ় অঞ্চল সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর
Q) রাঢ় শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ সাঁওতালী শব্দ ‘রাঢ়ো’ (যার অর্থ পাথুরে জমি) শব্দটি থেকে রাঢ় শব্দটি এসেছে ।
(ii)দুই মেদিনীপুরে পান ও সবজি চাষ হয় ।
(iii)বাঁকুড়ায় লাক্ষাকীট চাষ হয় ।
(iv)বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে প্রচুর পরিমানে তুঁতগাছের চাষ হয় ।
Q) রাঢ় অঞ্চলে কি কি গাছ দেখতে পায় যায়?
উত্তরঃ বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে রাঢ় অঞ্চলে শাল, সেগুন, মহুয়া, কুল, বাঁশ, শিরিষ প্রভৃতি শুষ্ক পর্ণমোচী বৃক্ষ দেখা যায় ।
Q) রাঢ় সমভূমি অঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ভাগীরথী-হুগলী নদীর পশ্চিমে সমগ্র বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিম অংশে; বাঁকুড়া , বর্ধমান ও মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে ।