ভারতের উল্লেখযোগ্য গিরিপথ গুলির বিবরণ
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভারতের উল্লেখযোগ্য গিরিপথ থেকে প্রশ্ন আসে । বিগত পরীক্ষাগুলিতে এই অধ্যায় হতে অনেক প্রশ্ন এসেছে । তাই এই পোস্টিতে আগামী পরীক্ষায় আসতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ গিরিপথগুলির নাম, অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করলাম ।
আগিল (Aghil Pass)
অবস্থান : লাদাক ও চিনের সিনকিয়াং প্রদেশ (জাম্বু ও কাশ্মীর)
বৈশিষ্ট্য : এই গিরিপথ সমুদ্র থেকে ৫০০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত ।
ইমিস-লা (Imis La)
অবস্থান : লাদাক ও তিব্বতের মধ্যে অবস্থিত (লাদাক)
বৈশিষ্ট্য : এই গিরিপথ ৮৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । শীতকালে বন্ধ থাকে ।
কারাকোরাম বা খুনজেরাব (Khunjerab)
অবস্থান : লাদাকের ইন্দো-চাইনা বর্ডারে অবস্থিত ।
বৈশিষ্ট্য : কারাকোরামেরে ৫০০০ মিটারের অধিক উচ্চতায় অবস্থিত । লাদাক ও চীনের সিনকিয়াং প্রদেশের মধ্যে এটি একটি ঐতিহ্যগত গিরিপথ ।
কারা টাগ গিরিপথ (Qara Tagh Pass)
অবস্থান : কারাকোরাম পর্বত (জম্বু ও কাশ্মীর)
বৈশিষ্ট্য : সমুদ্রতল থেকে ৬০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । এই গিরিপথ দিয়েই প্রাচীন “গ্রেট সিল্ক রুট” ছিল ।
খরদুংলা (Khardung La)
অবস্থান : জম্বু ও কাশ্মীর
বৈশিষ্ট্য : এই গিরিপথটি সমুদ্রতল থেকে ৫৬০২ মিটারের বেশি উঁচুতে অবস্থিত । এতে ভারতের উচ্চতম সড়ক সেতু অবস্থিত ।
জোজিলা (Zoji La)
অবস্থান : লাদাক মালভূমি, লাদাক
বৈশিষ্ট্য : এটি ৩৮৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । আর দক্ষিণে অমরনাথ গুহা অবস্থিত। এটি শ্রীনগর, কার্গিল ও লের মধ্যে সংযোগরক্ষাকরী পথ । বর্তমানে শ্রীনগর – জোজিলা রোড জাতীয় সড়ক পথের মর্যাদা পেয়েছে ।
চাং লা (Chang La)
অবস্থান : লাদাক ও তিব্বতের মধ্যে সংযোগরক্ষা করে (লাদাক)
বৈশিষ্ট্য : এটি সমুদ্রতল থেকে ৫৩৬০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত ।এই পথে অবস্থিত চাং লা বাবা মন্দিরের নাম অনুসারে এর নাম হয়েছে চাং লা গিরিপথ ।
বানিহাল পাস (জহর টানেল) (Banihal Pass)
অবস্থান : ডোডা ও অনন্তনাগ জেলার মধ্যে জহর টানেল বা বানিহাল পাস অবস্থিত (জম্বু ও কাশ্মীর)
বৈশিষ্ট্য : ২৮৩২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । জম্বু ও শ্রীনগরের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করেছে ।
এটি এশিয়ার দীর্ঘতম জহর টানেল ১১ কিমি । ১৯৫৬ সালে এই টানেলের উদ্বোধন হয়েছিল ।
বুন্দেলপীর (Bundelpir)
অবস্থান : জম্বু ও কাশ্মীর
বৈশিষ্ট্য : এটি শ্রীনগর ও জম্বুর মধ্যে সংযোগরক্ষাকরী ।
সসার (Sasar)
অবস্থান : জম্বু ও কাশ্মীর
বৈশিষ্ট্য : এটি চীন ও লাদাখের মধ্যে সংযোগরক্ষাকরী ।
বুর্জিল (Burzil Pass)
অবস্থান : জম্বু, কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য : এই গিরিপথ ৫০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত । চিন ও লাদাখের মধ্যে সংযোগরক্ষাকরী ।
থাংলা (Thang La)
অবস্থান : জম্বু ও কাশ্মীর
বৈশিষ্ট্য : এই গিরিপথ ৫৩৫৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । লাদাখের সাথে তিব্বতের সংযোগ রক্ষাকারী পথ । এটি ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম মোটর চলাচল গিরিপথ ।
লানাক লা (Lanak La)
অবস্থান : এটি ভারতের লাদাখ ও তিব্বতের লাসার মধ্যে যোগাযোগকারী গিরিপথ ।
বৈশিষ্ট্য : এটি ৫০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । লাদাখের আকসাই -চিনে অবস্থিত ।
পেনসি লা (Pensi La)
অবস্থান : এই গিরিপথটি কাশ্মীর উপত্যকা ও কার্গিলের মধ্যে অবস্থিত ।
বৈশিষ্ট্য : এটি সমুদ্রতল থেকে ৫০০০ মিটার উচ্চতাতে জোজিলা গিরিপথের পূর্ব দিকে অবস্থিত ।
পীরপাঞ্জাল (Pir-Panjal Pass)
অবস্থান : এটি জম্বু ও শ্রীনগরে অবস্থিত ।
বৈশিষ্ট্য : এই গিরিপথটি মুঘল রোডের উপর অবস্থিত । স্বাধীনতার পর থেকে এটি বন্ধ আছে । এটি জম্বু ও কাশ্মীর উপত্যকার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একটি সংক্ষিপ্ত পথ ।
সিপকি লা (Shipki La)
অবস্থান : হিমাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য : এটি ৫০৪৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মানালি ও লে -এর মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী পথ । এটি ৬০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত এবং হিমাচল প্রদেশ ও তিব্বতের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে । শতুদ্র গিরিখাতের মধ্যে দিয়ে এই গিরিপথ অবস্থিত ।
বারা লাচা (Nara Lacha)
অবস্থান : হিমাচল প্রদেশ ।
বৈশিষ্ট্য : এটি হিমাচল প্রদেশের মান্ডিকে লে -এর সাথে যুক্ত করেছে । উচ্চতা প্রায় ৪৮৮৩ মিটার । এটি হিমাচল প্রদেশ, জম্বু- কাশ্মীর ও লের অন্যতম যাতায়াত পথ ।
রোটাং (Rohtang Pass)
অবস্থান : হিমাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য : ৩৯৭৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি অন্যতম যাতায়াত পথ । এই গিরিপথ কুলু, লাহুল ও স্পিটি -র মধ্যে দিয়ে গেছে ।
দেবসা (Debs Pass)
অবস্থান : হিমাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য : হিমাচল প্রদেশের কুলু ও স্পিটির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে । উচ্চতা প্রায় ৫২৭০ মিটার ।
লিপু লেখ (Lipu Lakh)
অবস্থান : উত্তরাখন্ড
বৈশিষ্ট্য : এটি উত্তরাখন্ড ও তিব্বতের মধ্যে অবস্থিত একটি অন্যতম গিরিপথ । মানস সরোবর তীর্থ যাত্রীদের এই পথ অতিক্রম করতে হয় ।
মানা (Mana Pass)
অবস্থান : উত্তরাখন্ড
বৈশিষ্ট্য : ৫৬১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, তিব্বত ও উত্তরাখন্ড -এর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে । বছরের বেশিরভাগ সময় তুষারে ঢাকা থাকে ।
মাংসা ধুরা (Mangsha Dhura Pass)
অবস্থান : উত্তরাখন্ড
বৈশিষ্ট্য : ৫০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত উত্তরাখন্ড ও তিব্বতের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে ।
মুলিংলা (Muling La)
অবস্থান : উত্তরাখন্ড
বৈশিষ্ট্য : গঙ্গোত্রী হিমবাহের উত্তরে অবস্থিত । উত্তরাখন্ড ও তিব্বতের মধ্যে যোগাযোগকারি ৫৬৬৯ মি উচ্চতায় অবস্থিত গিরিপথ ।
ট্রলিস (Tralli’s La)
অবস্থান : উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় ও বাগেশ্বর জেলার মধ্যে অবস্থিত ।
বৈশিষ্ট্য : এটি ৫২১২ মিটার উঁচুতে অবস্থিত পিন্ডারী ও মিলাম জেলার মধ্যে অবস্থিত।
জেলেপ লা (Jelep La)
অবস্থান : সিকিম (চুম্বি উপত্যকা) ও লাসা
বৈশিষ্ট্য : এটি ৮৫৩৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । ভারত ও তিব্বতের সংযোগকারী গ্যাংটক-লাসা রোড এখানে অবস্থিত ।
নাথু লা (Nathu-La)
অবস্থান : সিকিম
বৈশিষ্ট্য : এটি ৪৩১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ও ভারত চীন সীমান্তে অবস্থিত খু গুরুত্তপূর্ণ একটি গিরিপথ । এটি সিকিমের সাথে তিব্বতকে যুক্ত করেছে । ১৯৬২-র যুদ্ধের পর এটি পুনরায় ২০০৬ সালে চালু হয় ।
বোম ডি-লা (Bomdi La)
অবস্থান : অরুণাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য : ৮৩৩১ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । অরুণাচল প্রদেশ ও লাসার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে ।
দিহাং (Dihang Pass)
অবস্থান : অরুণাচল ও মায়ানমারের সাথে
বৈশিষ্ট্য : এটি ৪০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ।
লিখাপানি পাস
অবস্থান : অরুণাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য :এটি ৪০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত । অরুণাচল প্রদেশের সাথে মায়ানমারকে যুক্ত করেছে ।
পাংসান (Pangsan Pass)
অবস্থান : অরুণাচল প্রদেশ
বৈশিষ্ট্য : এটি অরুণাচল প্রদেশের সাথে মায়ানমারকে যুক্ত করেছে । উচ্চতা ৪০০ মিটারের বাসি উঁচু ।
ডিফু (Diphu Pass)
অবস্থান : অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব দিকে
বৈশিষ্ট্য : মায়ানমারে জয়ার সহজ ও সংক্ষিপ্ত প্রবেশ পথ